ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে ‘সেনা মালঞ্চে’ আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী আয়কর প্রদান কার্যক্রম। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং কর অঞ্চল-৯’র যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
‘সেনা মালঞ্চে’ স্থাপিত কর কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কর্ণেল ষ্টাফ (প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা পরিদপ্তর) গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো: আজমল হোসেন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) শাহীন আক্তার। সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। আজ মঙ্গলবার আন্ত:বাহিনী গণসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জান নো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সকল সদস্যকে আয়কর প্রদানে আরও উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানসহ আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজতর করার লক্ষ্যে বিগত ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ঢাকা সেনানিবাসস্থ ‘সেনা মালঞ্চে’ এ সশস্ত্র বাহিনী আয়কর প্রদান কার্যক্রম’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা সামরিক ও অসামরিক পরিমন্ডলে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে ইতিমধ্যে বিবেচিত হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী আয়কর প্রদান কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সকল সদস্যগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে আয়কর রিটার্ন সম্পর্কিত সকল প্রকার (আয়কর রির্টান জমা, টিআইএন গ্রহণ, অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্রভৃতি) সুবিধাদি বিস্তৃতি পরিসরে ওয়ান স্টপ সার্ভিস হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। উক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে আয়কর প্রদান বা রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সচেতনতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।
এ বছর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কর অঞ্চল-৯ এর সার্কেল ১৮৬, ১৯০ ও ১৯৫ এর আওতাধীন করদাতাদের সুবিধার্থে সর্বমোট ১৫টি রিটার্ন গ্রহণ বুধ, ১টি ই-টিআইএন রেকিস্ট্রেশন বুথ, ২টি হেল্প ডেক্স ও ১টি তথ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেন এবং মহিলা করদাতাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। পে অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সম্পর্কিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংক’র অতিরিক্ত ২টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে এই রাজস্ব আদায়ের হার ছিল প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি টাকা এবং রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ হাজার ৫০০টি। চলতি বছরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রিটার্ন দাখিল এবং রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা করা যায়। সাফল্যের এই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও ‘সশস্ত্র বাহিনী আয়কর প্রদান কার্যক্রম’ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।