সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে সিলেট মহানগরীর রিকাবী বাজারস্থ কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ৩৯ টি ওয়ার্ড শাখার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দারিদ্র্য  দূরীকরণে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের কাছে এখন উদাহরণ।  কিন্তু বিএনপি মিথ্যাচারে লিপ্ত। তাদের মিথ্যাচার সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 
সংবিধান অনুযায়ী  আগামী বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন হবে, এর ব্যত্যয় হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি দলীয় নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সবাইকে এই ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান। 
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি বলেছেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাঁর শাসনামলে মির্জা ফখরুল সাহেবেরা নির্বিঘেœ বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। আমরা তো অমানবিক আচরণ করিনি। বিএনপি কখনো গণতন্ত্র চর্চা করে না। তারা মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার করে বেড়ায়। তাদের শাসনামলে আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি, বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেননি। আমাদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছিলেন। তাদের এ দুঃশাসন এদেশের মানুষ কখনো ভুলবেনা। 
এ সভায় নানক আরও বলেন, বর্তমানে আমরা গভীর ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলছি। আমাদের এসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তিই এ দেশের জনগণ। জনগণ ও দলের কর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সারাজীবন আন্দোলন সংগ্রাম ও লড়াই করে এসেছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ প্রসঙ্গে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে ১১০ কোটি টাকায় কেন্দ্রীয় ট্রাক ট্রার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। এ টার্মিনাল নির্মাণ করতে প্রয়াত মেয়র বদরুদ্দিন আহমদ কামরান আমার কাছে গিয়েছিলেন। আমি সেটা পাস করি। কিন্তু বর্তমান মেয়র (আরিফুল হক চৌধুরী) সেই ট্রাক টার্মিনালকে ভুলুন্ঠিত করেছেন। জায়গা নিয়ে সমস্যা ছিলো। কিন্তু কামরান ভাই সেটার সমাধান করে যেতে পারেননি। তার পরে কেন এতো সময় লাগে সেই প্রশ্ন তো রাখা যায়। দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে। লড়াই করতে হবে। এতে আমরা টিকে থাকবো- এমনটা ভেবে কাজ না করে বসে থাকলে চলবেনা।  সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। ’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাশুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচানায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাফিজ মজুমদার এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান এমপি প্রমুখ সভায় উপস্থিত  ছিলেন। 
প্রতিনিধি সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।