স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) সম্প্রতি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-আইবিএ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের অংশ হিসাবে তরুণ উদ্যোক্তারা স্থায়িত্ব এবং উন্নয়ন-কেন্দ্রিক সম্ভাবনাময় ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করবে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রতিটি পর্যায়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকৃত হবে। প্ল্যাটফর্মটি বিজয়ীদের তাদের ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা -গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নতুন পথ এবং সংযোগ প্রদান করবে
১ নভেম্বর, ২০২২ থেকে ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত আবেদন জমা দেয়া যাবে। দুটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের জন্য আবেদন জমা দেওয়া যাবে; লিফটিং পার্টিসিপেশন ও এক্সিলারেটিং জিরো। প্রথমটি, অর্থনীতিতে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফুর্ত অন্তর্ভুক্তি গড়ে তোলা এবং দ্বিতীয়টি, বৈশ্বিক টেকসই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করার সাথে সম্পৃক্ত। উভয় ক্যাটাগরি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে, কাউকে পিছে না ফেলেই, পরিবেশের ক্ষতি না করেই বা মানুষে-মানুষে বিভাজন ছাড়াই বাণিজ্য ও প্রবৃদ্ধি সাধন সম্ভব।
অংশগ্রহণকারীদের একটি থিম বাছাই করে এবং একটি মূল এবং সৃজনশীল ব্যবসায়িক ধারণা বা বিজনেস প্ল্যান জমা দিবে। পরবর্তীতে একটি বুটক্যাম্প এবং কর্মশালার আয়োজন করা হবে যার মাধ্যমে নির্বাচিত বিজনেস প্ল্যান গুলো আরো বিকশিত ও পরিপক্ক হয়ে উঠবে । প্রতিযোগিতায় আবেদনের নিয়মসহ অন্যান্য বিস্তারিত আইবিএ কমিউনিকেশন ক্লাবের ফেইসবুক পেইজে পাওয়া যাবে। যেকোনো তথ্যের জন্য ইমেল করুন SCBIBAInnovationChallenge@gmail.com-এ।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেছেন , “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-আইবিএ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ হল তরুণ বাংলাদেশীদের জন্য অজানা সম্ভাবনার প্রতি হ্যাঁ বলার সুযোগ। এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম যা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন সমস্যার উদ্ভাবনী এবং কার্যকর সমাধান নিয়ে আসার সুযোগ করে দিবে। এই প্রজন্মের সৃজনশীলতার জন্য যে ক্ষমতা রয়েছে তা তুলনাহীন - এটা আমার আশা যে প্রতিযোগিতাটি আমাদের সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের নতুন স্টার্ট-আপ ধারণা তৈরি এবং পরিমার্জিত করতে সাহায্য করবে যা একদিন পরিবর্তনকে প্রভাবিত করবে এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য একটি পথ নির্ধারণ করবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, আই বি এ -এর সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে গর্বিত - আমাদের দেশের অন্যতম খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান - এই চ্যালেঞ্জটি বাস্তবায়ন করতে অপরিহার্য অবদান রাখবে।”
ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর ডিরেক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ এ. মোমেন বলেন, “একটি বিজনেস স্কুল হিসেবে, আমাদের শ্রেণীকক্ষের বাইরেও নতুনত্বকে উৎসাহিত করা এবং উদ্যোক্তাকে লালন করার দায়িত্ব রয়েছে। এবং ওইঅ গত ৫৫ বছরে এতদূর এসেছে কারণ আমরা ইন্ডাস্ট্রি -র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। আমাদের মূল্যবোধের প্রতি সততা বজায় রেখে, আমরা বিশ্বাস করি যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড আইবিএ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে ইনোভেটিভ ব্যবসায়িক ধারণাগুলিকে সরাসরি সমর্থন করতে সাহায্য করবে এবং সমাজ ও জাতিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।”
দীর্ঘ ১১৭ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। দীর্ঘদিন যাবত দেশের অগ্রগতির অংশীদার হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাফল্য, সম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধিতে সাহায্যের লক্ষ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করে আসছে। সাসটেনেবিলিটি ও সমতাকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাংকটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সাসটেইনেবিলিটিকে কেন্দ্র করে কমিউনিটি উদ্যোগের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জীবন, জীবিকা এবং পৃথিবীর সুরক্ষায় ভূমিকা রেখেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (আইবিএ) বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষস্থানীয় বিজনেস স্কুল। আইবিএ ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিক্ষা, অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছে।