এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বাঙালির আত্মমর্যাদার কথা ভাবতেন বলেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ১১ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়ন করেছেন।
জেল হত্যা, আইনের শাসন, সংবিধান ও সাংবিধানিকতা-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তৃতায় এটর্নি জেনারেল আজ এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির আইন সম্পাদক ড. ওহিদুর রহমান টিপুর সভাপতিত্বে উপ-আইন সম্পাদক এডভোকেট জিশান মাহমুদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই দেশের সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু একটি কমিটি করে দেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধানগৃহীত হয়। যুদ্ধে বিজয়ী কোন একটি নতুন দেশে এতো অল্পসময়ে সংবিধান প্রণয়ন ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এটি বঙ্গবন্ধুর একটি অনন্য সাফল্য।
এটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন বাংলাদেশের সংবিধান রচনার পটভূমি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যার পর ৭২ এর সংবিধানকে কাঁটাছেরা করা হয়। দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। সংবিধান বিরোধী নানা কর্মকান্ড চলতে থেকে।
এটর্নি জেনারেল বলেন, কোন একক শাসক বা ব্যক্তির ইচ্ছায় সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। সংবিধান পরিবর্তনের পদ্ধতি ও রীতি রয়েছে।
আমিন উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিই ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার যড়যন্ত্রে জড়িত। এখনো সে যড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে যড়যন্ত্রকারীদের নির্বাচন, আন্দোলন ও রাস্তায় প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় হাওয়া ভবন থেকে নির্দেশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিনকে পরিচালনা করা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় এক এগারো সৃষ্টি হয়।
এটর্নি জেনারেল বলেন, শত প্রতিকুলতা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। সংগঠনটির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অনুষ্ঠানে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন।