আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে আয়কর আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই আয়কর আইনজীবীদের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটরি বডি ) থাকা দরকার।
আজ সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ আয়কর আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকলে যে কেউ আয়কর আইনজীবী সমিতির সদস্য হতে পারবে না। আয়কর আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড (মান) বাড়ানোর বিষয়ে মত দেন তিনি ।
আনিসুল হক বলেন, সৎ ও দক্ষ আয়কর আইনজীবীগণ দেশের রাজস্ব বাড়াতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। আয়কর খাতে নিয়োজিত সকল আইনজীবী সৎ ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করলে দেশের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে, তেমনি আইন পেশার মর্যাদা ও গুরুত্ব বাড়বে। এতে জনগণের মধ্যে আয়কর দেওয়ার ভীতিও দূর হবে। এসময় তিনি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আয়কর আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরিতে উন্নতমানের বই-পুস্তক দেয়ার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ আইনমন্ত্রীর কাছে পেশাগত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। তারা আয়কর অধ্যাদেশে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদলে ট্যাক্স কাউন্সিল গঠনের বিধান যুক্ত করার অনুরোধ জানান। এছাড়া আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালে একজন বিচার বিভাগীয় সদস্য (জেলা জজ) ও একজন প্রাকটিশনার্স আয়কর আইনজীবীর নাম অন্তর্ভুক্তকরণ, চট্টগ্রামে আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের ২টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ স্থাপনে আইনমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। এসব বিষয়ে আইনমন্ত্রী এনবিআর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলম সারওয়ার, বাংলাদেশ আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সোহবার উদ্দিন, মহাসচিব মো. খোরসেদ আলম, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইকবাল মোস্তফা ও এ কে এম আজিজুর রহমান, ঢাকা আয়কর আইনজীবী এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আমজাদ, সাবেক সভাপতি এ কে এম আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া খান ও সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ অংশ নেন।