তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া রায়ে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ্য সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
রোববার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদন্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সস্ত্রীক বজলুর রশীদকে ডেকে নিয়ে যায় দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদি হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
২২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) রূপায়ন হাউজিং স্টেটের স্বপ্ননিলয় থেকে ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন।
তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য পরিশোধিত অর্থে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি বজলুর রশীদ।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।