রাজধানীর রামপুরা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে ২০ সেপ্টেম্বর চার দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে ফের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক এস.এম. মিজানুর রহমান। অন্যদিকে আসামি পক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ফের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত শাকির ও তার সহযোগি আবারুল হক ভিলার চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় আসামি ভিলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রহমান ছিদ্দিকীর আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে এবঙ পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লার সাত তরুণের সহযোগি শাকির। তিনি নানাভাবে যুবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জঙ্গি সংগঠনটির জন্য সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কথিত হিজরতে যেতে সহায়তা করতেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।