- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১১
- ৭৯১ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খোঁজখবর নিতে উখিয়ায় গেছেন দেশটির সমাজকল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মায়াত আয়ে। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রতিনিধিদল নিয়ে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন তিনি।
প্রায় আট মাস আগে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর মিয়ানমারের কোনো মন্ত্রী কিংবা প্রতিনিধিদল প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারে গেলেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ে বাংলাদেশ সফর আসলেও কক্সবাজার যাননি। ঢাকায় বসে আলোচনা শেষে ফিরে যান তিনি।
রোহিঙ্গাদের খোঁজখবর নিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান মিয়ানমারের মন্ত্রী মায়াত আয়ে। সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের সামনে কিছু সময়ের জন্য কথা বলেন মিয়ানমারের মন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্রুত যেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করানো যায় সেই খবর নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছেন তিনি।
রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার সরকার। আর সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে নানা সময় বাংলাদেশের দিকে ছুটে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
সর্বশেষ গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানে নামে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা। তারা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। হত্যা করা হয় শত শত রোহিঙ্গাকে। ধর্ষণের শিকার হন বহু রোহিঙ্গা নারী।
নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশমুখী ঢল নামে লাখ লাখ রোহিঙ্গার, যে সংখ্যা সাত লাখের মতো। তাদের আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় আশ্রয় শিবিরে।
রোহিঙ্গাদের স্রোত শুরু হওয়ার পর বিষয়টি জাতিসংঘে তোলে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও প্রথমে রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা স্বীকার না করলেও পরে ‘কিছু হত্যার’ বিষয়টি স্বীকার করেন দেশটির সেনা প্রধান।
আর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে দেশটির সঙ্গে প্রথমে সমঝোতা স্মারক এবং পরে ফিজিক্যাল অ্যারাঞ্জমেন্ট নামে চুক্তিও হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান সীমান্তে দুই দেশের শূন্য রেখায় অবস্থানকারী আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকাও দেয়া হয় মিয়ানমারকে। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩৭৪ জনকে রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..