সাফ উইমেন্সের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা এখন দেশে শত শত মেয়েদের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের অনুসরণ করে দেশের জন্য আরও সুনাম নিয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে শত শত মেয়ে।
দুর্দান্ত অর্জনের পর একটি উন্মুক্ত বাসে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে যাত্রা করে সানজিদা, কৃষ্ণা এবং তাদের সতীর্থরা আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভাবনে(বাফুফে) পৌঁছেছে। চ্যাম্পিয়নদের এমন অর্জন পুরো জাতিকে উজ্জীবিত করেছে।
বিমানবন্দরে চ্যাম্পিয়নদের অভ্যর্থনা জানাতে এসে আরও শৃঙ্খলা মেনে খেলাকে আরও গুরুত্ব সহকারে নেয়ার শপথ করেছে অনেক তরুণী। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে যা এখন দেশের বিভিন্ন অংশে জড়িয়ে গেছে।
বিকেএসপির ছাত্রী সুমাইয়া সুলতানা বিথী বলেন, ‘আমাদের বড় বোনেরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরা বিকেএসপির পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানাতে এসেছি। ফুটবল, আর্চারি, জুডো, অ্যাথলেটিক্সের খেলোয়াড়রা এখানে আছে। তাদের জয় অবশ্যই আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরাও যেন এমন সাফল্য অর্জন করি, আমাদেরকেও এভাবে অভিবাদন জানানো হয়। আমরাও তাদের মতো ভালোবাসা পাওয়ার চেষ্টা করবো।’
বিকেএসপিতে ফুটবলে প্রশিক্ষণরত সাদিয়া নুসরাত। তার আনন্দ অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি একজন ফুটবলার। তাই আনন্দ আরও বেশি। তাদের দেখে বড় কিছু পাবার অনুভূতি বাড়ছে, ইচ্ছা শক্তি বাড়ছে, যেহেতু তারা এই প্রজন্মকে ভালো কিছু দিয়েছে। আশা করি আমরাও তাদের দেখানো পথে এগিয়ে যেতে পারব। আমরাও যেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি এবং আরও ভালো করতে পারি।’
সাদিয়া আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের রোল মডেল এখন তারা। তারা এখন আমাদের কাছে আইডল। তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে আমরা ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবো।’
বিকেএসপিতে বিশে^র একজন সেরা জুডো খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন সোনিয়া। কিন্তু ফুটবলের কৃতিত্ব অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে তাকে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি তাদের অভিনন্দন জানাতে। তারাও আমাদের মতো বিকেএসপিতে ছিল। আমরাও বিকেএসপির। স্বাগত জানাতে এবং তাদের সাথে দেখা করতে আমরা এখানে এসেছি। তাদের কৃতিত্ব পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে এটি অনুপ্রাণিত করছে।’
প্রায় একই সময়, ওমরাহ পালন করে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘এটা অনেক বড় অর্জন। বড় অর্জনে খুব খুশি, যা পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলবে তারা।’
নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস সৃস্টি করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।