শুধুমাত্র রক্তগ্রহীতাই নয়, রক্তদাতাদেরও আস্থার স্থলে পরিণত হয়েছে কোয়ান্টাম। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলা কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম লাখো মানুষের সেবা দিতে পারছে। বিশেষ করে কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্তের উপাদানকে আলাদা আলাদাভাবে ভাগ করার মাধ্যমে এক ব্যাগ রক্ত একাধিক রোগীর কাজে লাগছে। ফলে, রক্তগ্রহীতা ও দাতা উভয়ের সমন্বয়ে যে রোগীর যে উপাদান লাগছে-তা সরবরাহ করা যাচ্ছে এবং আরো বেশি মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহতী এমন উদ্যোগের জন্যে রক্তদাতা, গ্রহীতাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার, ২৫ বার অথবা ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়। এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সনদপত্র, আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। নিয়মিত রক্তদাতা জাকিয়া সুলতানা ও নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী নাদিয়া আক্তার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন জনাব এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮-১০ লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে মানবিক এ সংগঠনটি।