চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে নতুন ৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। শহর ও গ্রামে এ সময়ে আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল নগরীর সাত ল্যাব, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ও এন্টিজেন টেস্টে ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৬ ভাইরাসবাহকই শহরের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৭২ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৮৭৫ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৯৭ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৯ টি নমুনার মধ্যে ২ টিতে করোনার জীবাণু মিলে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩ জন সংক্রমিত পাওয়া যায়।
এছাড়া, শেভরনে ১৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে পরীক্ষিত ৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১২, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। পাঁচ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে পরীক্ষিত ৬৪ জনের নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়নি।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), এভারকেয়ার হসপিটাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫ দশমিক ৮৮ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।