×
ব্রেকিং নিউজ :
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ গুজব প্রতিরোধ করে: তথ্য ও সম্প্রচার সচিব
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-১৭
  • ৩০৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ ঈশা খাঁ ঘাঁটির দু’টি জামে মসজিদে বোমা হামলা মামলায় জেএমবি’র ৫ সদস্যের প্রাণদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত আজ সকালে এই রায় ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদক জানান, নৌবাহিনী মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় আদালত আজ দুপুর ১২টায় চার্জশিটভূক্ত ৫ আসামির সবাইকে প্রাণদ- দিয়েছেন। সর্বোচ্চ শাস্তিপ্রাপ্ত আসামিরা হল- জামায়াতুল মোজাহেদিন অব বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সক্রিয় সদস্য রমজান আলী, আবদুল মান্নান, বাবুল রহমান, আবদুল গাফফার ও এম সাখাওয়াত হোসেন। এদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছে।
মামলার বর্ণনা মতে, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের সময় ১০ মিনিটের ব্যবধানে পতেঙ্গাস্থ নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে দুটি জামে মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। নৌবাহিনী সদস্যদের পাশাপাশি দুই মসজিদে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ আদায় করতেন। বোমা বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মোট ২৪ জন আহত হন। বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী ও বাবুল রহমান ওরফে রনিকে আসামি করা হয়। জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে ওই বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার বোমা হামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর আবদুল গাফ্ফারসহ ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। এতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। ফারদিন ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন। এ কারণে তার নাম মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মানোরঞ্জন দাশ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. জালাল উদ্দীন এই মৃত্যুদ-ের আদেশে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বোমা হামলার দীর্ঘদিন পরে মামলা করা হয়েছে। মামলার জব্দ তালিকা নেই, পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই। ফলে এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat