চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সরকারি-বেসরকারি নয় ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০ পজিটিভের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬ জন এবং ফটিকছড়ি উপজেলার ২ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৫৮ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৭৮০ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৭৮ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগী মারা যাননি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটি করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৮ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১১ টি নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একটি করে আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৬, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৫৪ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, চমেকহা’য় ৬ দশমিক ২৬, আরটিআরএলে ২৫, শেভরনে ১০ দশমিক ৭১ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ।