আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ যেন সকলের জন্য মঙ্গল আনে এবং সকলে যেন গ্রহণ করে সেভাবেই করা হচ্ছে।
রাজধানীতে রেডিসন হোটেলে ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ এর খসড়া বিষয়ে আয়োজিত আজ এক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা আইনমন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া বিষয় উপস্থাপন করেন সাবেক সিনিয়র সচিব এম শহীদুল হক, বক্তৃতা করেন সিনিয়র সচিব (পররাষ্ট্র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, তারেক এম বরকতউল্লাহ্।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন সিনিয়র সচিব (আইসিটি বিভাগ) এন এম জিয়াউল আলম। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু।
আনিসুল হক বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইনটা যেন সার্বজনীন হয়, বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেভাবেই করা হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। আজকের মতো আরো এরকম পরামর্শ সভা হবে। আইনটি প্রণয়ণে যুক্তিসঙ্গত সকল পরামর্শ নেয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বে এই আইন নতুন নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আসিয়ান, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে এ আইন রয়েছে। তাই উপাত্ত সুরক্ষায় বাংলাদেশও এ ধরনের আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এই আইনটি উপাত্ত নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব স্বীকার করে। নিরাপদ লেনদেনের জন্য দেশে এ ধরনের আইন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য একটি ডেটার প্রয়োজন হবে। তথ্যের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সুরক্ষা আইন সময়ের দাবী।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশবাসী স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
অনুষ্ঠান শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন উদার গণতান্ত্রিক ও ভবিষ্যৎমূখী করেই করা হচ্ছে। এ আইন মূল্যবান তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে। অনুমতি সাপেক্ষে তথ্য উপাত্ত ব্যবহারের বিষয়টি এ আইন সুরক্ষা দেবে।