চট্টগ্রাম জেলায় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১৯ জুলাই কোভিড বুস্টার ভ্যাকসিন দিবস পালন করা হবে। করোনার চলমান চতুর্থ ঢেউয়ে আক্রান্তদের শারীরিক ক্ষতি হ্রাসে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলা ও নগরীতে আগামী মঙ্গলবার কোভিড-১৯ প্রতিরোধক তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন বুস্টার প্রদান করা হবে। এদিন ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ৫০০ ডোজ করে ৩ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় হাজার করে ২১ হাজার টিকা প্রদানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এখানে প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি করে টিম কাজ করবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ডোজ বুস্টার।
বিপুল জনগোষ্ঠীকে একই দিনে বুস্টার ডোজের আওতায় আনার পরিকল্পনা সম্পর্কে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী জানান, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, একইদিনে অনেক মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা অনেক বেশি কার্যকর হয়। এ কারণেই কোভিডের চলমান প্রকোপের মধ্যে আমরা বুস্টার ডোজ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা প্রতিটি ইউনিয়নকে টার্গেট করেছি। এখানে কমিউনিটি ক্লিনিককে আমরা টিকাকেন্দ্র হিসেবে বেছে নেবো। যেখানে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই সেখানে ইপিআই কর্মসূচি পালনের স্থানগুলোকে টিকাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি করে টিমে ৩/৪ জন করে কাজ করবে। নগরীর ৪৭ হাজার টিকা প্রয়োগের কেন্দ্র ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।’
সিভিল সার্জন বলেন, ‘কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর যাদের চার মাস সময় অতিবাহিত হয়েছে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। মাঝে কোভিডের সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অনেকে বুস্টার নেয়া থেকে বিরত ছিলেন। এখন চতুর্থ ঢেউয়ের প্রকোপ বাড়ায় টিকা নেয়ারও আগ্রহ বাড়ছে।’
বুস্টারের পাশাপাশি কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজও দেয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন যারা এখনো গ্রহণ করেননি তাদেরকে পর্যায়ক্রমে টিকাগুলো গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন করোনার সংক্রমণ শতভাগ ঠেকাতে না পারলেও সংক্রমণের পর শারীরিক ক্ষতি অনেক কমাতে পারে। যাদের অন্যান্য রোগ আগে থেকে শরীরে বাসা বেঁধেছে তাদের এ বুস্টার বা প্রতিটি ভ্যাকসিন ডোজ অপরিহার্য।’