চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এ হার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। নতুন করে ৩৩ জন আক্রান্ত হলেও সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ২২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে শহর ও গ্রামে কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর পাঁচ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৩৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৩১ ও মিরসরাই উপজেলার ২ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৬২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯৩ হাজার ৮৮ জন শহরের ও ৩৪ হাজার ৬৭৪ জন গ্রামের। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে করোনায় কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবরেটরিতে। এখানে ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৪ ও গ্রামের ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১০টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮ জনের নমুনায় শহরের ৪ জন পজিটিভ হন। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৩ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৮ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ৩৮, শেভরনে ১০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ০ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।