ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষা মৌলিক অধিকার এবং এটি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিআরসি, এটুআই এবং এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের যৌথ উদ্যোগে কানেক্টিভিটি ফর এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন্স ফর বেল্ডন্ডেড এডুকেশন বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি শীর্ষক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ডিজিটাল সংযোগ ও মানসম্মত কনটেন্ট অপরিহার্য। ডিজিটাল কনটেন্ট মানে পাঠ্যসূচির পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা নয়, কনটেন্ট অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। প্রচলিত শিক্ষা শ্রেণিকক্ষ থেকে ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন করা আবশ্যক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের মহাসড়ক তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে মোবাইল অপারেটরসমূহ যাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে জন্য বিটিআরসিকে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তৃণমূল থেকে শুরু করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাল শিক্ষার জন্য শিক্ষকদেরও ডিজিটাল উপযোগী দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিজিটাল শিক্ষা প্রদানের উপযোগী করতে না পারলে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ডিজিটাল শিক্ষা ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক, এটুআই’র সিনিয়র পলিসি এডভাইসার আনীর চৌধুরী এবং এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অঞ্জু মঙ্গল বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর শহিদ উদ্দিন আকবর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।