করোনার ৪র্থ ঢেউয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা মো. ইসমাইল খান।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রিকভারি গাইড লাইন তৈরি, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয়ে সফট লোন প্রদান ও স্বল্পমূল্যে ডাটা প্যাকের ব্যবস্থা করেছিলো ইউজিসি।
আজ ইউজিসি আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সরাসরি ক্লাস শুরুর আগে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করে ক্লাস-ল্যাবগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ভবনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা সময়ে দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রিকভারি গাইড লাইন তৈরি, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয়ে সফট লোন প্রদান ও স্বল্পমূল্যে ডাটা প্যাকের ব্যবস্থা করেছিলো ইউজিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বাবিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজি) সদস্য প্রফেসর ড. মো: আবু তাহের বলেন, যারা এখন পর্যন্ত টিকার ডোজ গ্রহন করেননি তাদেরকে তিনি দ্রুত টিকা নেওয়ার এবং দুই ডোজ সম্পন্নকারীদের বোস্টার ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্থার জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. একেএম শামসুল আরেফিন, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা সহায়তা বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড ফখরুল ইসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভুঁইয়া, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সিনিয়র সহকারি পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।