চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৪০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৭ জন ও তিন উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৮৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৩৩৭ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৫০ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক আজকের রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৪৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ১৪ টি নমুনায় শহরের ৬ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৫ টি নমুনায় শহরের ৪ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮৩ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহর ও গ্রামের একজন করে সংক্রমিত পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৪ জনের নমুনায় শহরের ৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ২ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
এদিন, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, চমেকহা’য় ১৭ দশমিক ৩৯, শেভরনে ১০ দশমিক ৩৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ১৫, আরটিআরএলে ৪২ দশমিক ৮৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১ দশমিক ২০, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪ দশমিক ৫৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫ দশমিক ৫৫, এভারকেয়ার হাসপাতালে ৪২ দশমিক ৮৬ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।