বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটন খাতের প্রসারে দেশের ইতিবাচক ইমেজ বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে প্রচারণার ওপর বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘পর্যটন মাস্টার প্ল্যান’ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্ষুদ্র সময়ে আমার সীমাবদ্ধতায় যতটুকু দেখেছি, তাতে আমি মনে করি আমাদের দেশ অনেক সুন্দর, অনেক নান্দনিক।’ এ বিষয়গুলো মানুষকে জানান দিতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্যই প্রচারণার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
মাহবুব আলী বলেন, পর্যটনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ, ‘আমাদের সংস্কৃতি পর্যটনবান্ধব। তবে আমাদের আরও উদার হতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে যে-যে উপাদানগুলো দরকার তার সব আছে। আমি বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের যে মুল্যবোধ সেগুলো ধারন করতে হবে। সেখানেই পর্যটনকে প্রোমোট করার সব কিছু আছে।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পর্যটনের একটি বড় ধরনের উপকরণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্ব বেড়েছে। পাশ্ববর্তী দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
তিনি পর্যটন মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে বলেন, ‘যে মাস্টার প্ল্যান আমরা করতে যাচ্ছি, তা সুপরিকল্পিতভাবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে এটা করতে হবে। আমাদের মাস্টার প্ল্যানের মুল বিষয় হবে, যে জায়গার সাথে, যে পরিবেশের সাথে যেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন বরিশালে রিভারাইন ট্যুরিজম, পাহাড়ী এলাকায় সেখানকার ইকো-সিস্টেম মেইনটেইন করে ট্যুরিজমের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই পর্যটন মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদি, এখন বাংলাদেশ পর্যটনে যে অবস্থায় রয়েছে তা আরো অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের যে ১১শ’ পর্যটন স্পট আছে, সেগুলোর ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে পর্যটন খাতের উন্নয়ন হবে।’ পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন অংশীজন এ কর্মশালায় অংশ নেন।