চার দিন নয়, একটি টেস্টে ম্যাচে পুরো পাঁচ দিন ভালো খেলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। বিগত দুই বছর ধরে টাইগাররা শুরুটা ভাল করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে পারছেনা এবং শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছে।
জয়ের মতো অবস্থানে থেকেও বাংলাদেশ তাদের সর্বশেষ তিনটি টেস্ট ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। নিজেদের মাটিতে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি করে এবং দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্টে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ চারদিন খুবই ভালো খেলে জয়ের আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু পঞ্চম দিনে একটি খারাপ সেশনের মুল্য দিতে হয়েছে পরাজয়ের মাধ্যমে।
এছাড়া প্রথম টেস্টে জয়ের মাধ্যমে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করার পরও দ্বিতীয় টেস্টে বাজে পারফর্ম করে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা। ওইসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ডোমিঙ্গো বলেছেন, টেস্টে পুরো পাঁচ দিন ভালো খেলতে পারলেই কেবল জয়ের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে জয় পেতে হলে দলটিকে এটাই করতে হবে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আগামী রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে আজ ডোমিঙ্গো বলেন,‘ পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা ২০০ রানে এগিয়ে ছিলাম। এরপর আমরা উইকেট হারাতে শুরু করি। চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৯৫ রানে ওয়েস্টইন্ডিজকে আটকে দেয়ার পর আমাদের জয় পাওয়া উচিৎ ছিল। নিউজিল্যান্ডে আমরা প্রথম টেস্ট জয় করেছি। ডারবান টেস্টে প্রথম চারদিন আমরা সত্যিই খুব ভালো খেলেছি। ’
বাংলাদেশ কোচ বলেন,‘ আমাদের বড় চ্যালেঞ্জে হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টে টিকে থাকা। আমি বিশ্বাস করি চার দিন নয়, পুরো পাঁচ দিন ভালো খেলতে পারলে যে কোন দলকে হারানোর যোগ্যতা আমাদের আছে।’
তিনি বলেন,‘ যখন আমাদের খারাপ সেশন আসে, তখন সেটি খুব খারাপ ভাবেই আসে। আমরা হয়তো এক বা দুটি উইকেট হারাতে পারি। পাঁচ উইকেট নয়। এই বিষয়টিই আমি বার বার বলে আসছি। ড্রেসিং রুমে আমাদেরকে শান্ত থাকার চেস্টা করতে হবে। এতে উইকেট পতন রোধ হবে।
ডোমিঙ্গোর মতে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো বেশ ভালো অবস্থায় আছে। মানুষ যা বলছে তা নয়। তাদের দরকার দুই টেস্টের ১০টি দিন ধৈর্য্য ধরে ভালো খেলা। তিনি বলেন,‘ জেমি সিডন্স যেমনটা বরেছেন, দক্ষিন আফ্রিকায় দল বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। প্রথম দুই ইনিংস খুব একটা ভালো হয়নি। কন্ডিশন সব সময় ব্যাট করার মতো উপযোগি ছিল না। শেষ কয়েকটি ওভারে আলোর ঘাটতি ছিল। দক্ষিন আফ্রিকা দলে স্পিন আক্রমন ছিল চমৎকার । তারা ভালো বল করেছে। কন্ডিশনও সহায়তা করেছে। আমি মনে করিনা আসন্ন সিরিজে এর প্রভাব পড়বে। এক মাস আগে যা হয়েছে , তা হয়েই গেছে। আমাদেরকে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।’
আজ সকালে আমি বোলারদের বলেছি, দক্ষিন আফ্রিকায় দুই টেস্টে আমরা ৩৬টি উইকেট শিকার করেছি। তাই আমরা ২০ উইকেট শিকারের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। দরকার ৫টি বোলিং অপশন। সাকিব না খেললে ওই বিভাগে কিছুটা ঘাটতির সৃস্টি হয়। একদিনে একজন বোলারের ১২-১৩ ওভার বল করতে পারাটা খুবই গুরুত্বপুর্ন।’