শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডভূক্তরা হলেন- হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল কাইয়ূম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ ও ইরফান, বাংলা বিভাগের ফয়সাল ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদ। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিউমার্কেট থানায় আদালতের সাধারন নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিসের উপ-পরিদর্শক শরিফ সায়ায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী নাহিদ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর। আদালত তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ হাসান ও মুরসালিন মারা যান।
এরপর ২০ এপ্রিল নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদি হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এ মামলায় ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল আদালত পাঁচ জনের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন (২৩ এপ্রিল) এ মামলায় আসামি মকবুলের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
মকবুল হোসেন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।