দেশে করোনা যাতে আবার বাড়তে না পারে, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে- তাতে সংক্রমণ ফের বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে আমাদের দেশের অনেকেই যাতায়াত করছেন। তাদের নজরে রাখতে হবে, আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা আসা-যাওয়া করছেন, তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে- যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না যায়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন’। শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে সংক্রমণ নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সংক্রমণ ফের বাড়ার আশঙ্কা আছে।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যেতে হলে মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে। এজন্য পুষ্টি অপরিহার্য। আমাদের দেশে পুষ্টি সেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টি-সচেতন করা হয়। অতিরিক্ত তেল ও লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আমরা কি খাচ্ছি সেটা দেখতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ক্যালরিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখনও ১০-১৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করলেও কেউ না খেয়ে থাকে না। দেশের মানুষের খর্বাকৃতি আগে যেখানে ৫০ শতাংশ ছিল, সেটি এখন ত্রিশ শতাংশে নেমেছে। স্কুল ফিডিং জোরদারের চেষ্টা করছে সরকার। ছেলেমেয়েদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন ও ফাস্টফুড খাবার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য- সবার মধ্যে পুষ্টি সচেতনতা তৈরি করা। মাঠ পর্যায়ে এটির কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা। নগরায়ণের ফলে পুষ্টি চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। পুষ্টিকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হলে কমিউনিটি ক্লিনিককে কাজে লাগাতে হবে। বাস্তবে যদি আন্তমন্ত্রণালয় সম্পর্ক না বাড়ে, তাহলে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে জাতীয় পুষ্টি সেবা কার্যক্রমের পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়োশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচএন) পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ।