রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রাজধানীসহ সারাদেশে ডায়রিয়া ব্যাপক সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দুই ডোজের এ কলেরার টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ডোজ কাওয়ানো হবে মে মাসে। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা খাওয়ানো হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে জুন মাসে। গর্ভবতী নারী ছাড়া এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এ টিকা দেওয়া হব। প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এলাকাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ।’
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়াজনিত সমস্যার কারণ নির্ণয় ও সমাধানে ওয়াসার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ডায়রিয়া হঠাৎ কোনো সমস্যা নয়। এটা প্রায়ই হয়, আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। যদি পানিতে কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তবে ওয়াসা সেটি দেখবে। আমরাও আমাদের সেবা চালিয়ে যাবো।
টিকাগ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনো কাজ করছি। টিকা গ্রহণ করতে হলে আলাদা কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেওয়া যাবে।
সাংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ডায়রিয়ার প্রকাপ রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কেউ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে খাবার স্যালাইন গ্রহণের পাশাপাশি নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। জেলা-উপজেলাসহ আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই প্রস্তুত রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলেই আইসিডিডিআরবি হাসপাতালটির নাম মাথায় চলে আসে। কারণ, এই হাসপাতালটির আগে নাম ছিলো কলেরা হাসপাতাল। এই কারণেই মানুষ হাসপাতালটিতে এসে ভিড় জমাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত।
সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৫২৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালগুলোতে ৫০০ মিলি ব্যাগ আইভি স্যালাইন মজুত আছে ৩ লাখ ৩০ হাজারটি, ১০০০ মিলি ব্যাগ আছে ৪ লাখ। এছাড়াও ১০০০ মিলি ব্যাগের আরও ১ লাখ ৬০ হাজার আইভি স্যালাইন শিগগির কেনা হচ্ছে।