ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের খালাস চেয়ে আনা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের একক বেঞ্চে আপিলটি আজ শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে থাকা মামলার সব নথিও তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও মিজানের জামিন শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে মিজানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। আপিলে তিনি তিন বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়েছেন।
ঘুষ লেনদেনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন বছর কারাদন্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
এর মধ্যে মিজানকে দন্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দন্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।