জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২৬ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জোর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই দিনে গণহত্যার শিকার বীর শহীদদের স্মরণ করে আমরা আমাদের চেতনাকে শাণিত করতে পারি।
শুক্রবার (২৫মার্চ) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০২২’ পালন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নির্বিচারে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের ইতিহাসে এমন নৃশংস হত্যাকা- আর ঘটেনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদ স্মরণে বিকাল থেকেই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও আল্পনা আঁকা হয়। রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় ৫১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের চেতনাকে শাণিত করতে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।’
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকেও দেশ সৃষ্টির ইতিহাস জানতে হবে। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষার ইতিহাসটিও নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেন তারা এগিয়ে যায়।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই দেশটিকে গত ৫০ বছরে এক রকমভাবে পাইনি। ৭৫’ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে এই দেশ থেকে স্বাধীনতার চেতনাকে একেবারে বিদায় করার অপচেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৭ই মার্চের অবিস্মরণীয় ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হয়েছে। আমরা এটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি চাইছি। বাংলাদেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে তা যেন পৃথিবী স্বীকার করে। এই স্বীকৃতির মধ্যদিয়ে পৃথিবীব্যাপী যেন এই চেতনা শাণিত হয়- পৃথিবীতে আর কখনো যেন এই রকমের জঘন্য গণহত্যা না হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সংসদ সদস্য রুবিনা মিরা, শিক্ষাবিদ প্রফসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ।