সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অপরাধে দুদকের দায়ের করা মামলায় হেফাজতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির মুফতি মো. ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় (৪৯/২০১৩) মুফতি ইজাহারে বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের হাজির থাকা মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ (লাভলু)।
তিনি বলেন, সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অপরাধের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছর ২৮ জুলাই মুফতি ইজাহারুল ইসলামের বরাবর নোটিশ পাঠায় দুদক। এতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সাত কার্যদিবস অর্থাৎ ওই বছরের ৭ আগস্টের মধ্যে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় দুদক চট্টগ্রামের উপ সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদি হয়ে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মুফতি ইজাহারুলের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদকের বর্তমান উপ পরিচালক এইচ এম আকতারুজ্জামান মামলাটির তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণের পর তার বিচার শুরু হয়। মামলায় ৯জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
জানা গেছে, আসামি মুফতি মো. ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রামের আলোচিত আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা লালখান বাজারের প্রিন্সিপাল। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতিও তিনি। এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমিরের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।