সাতকানিয়াস্থ বাইতুল ইজ্জত বিজিবি ট্রেনিং গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে’র (বিজিবি) ৬৭০ নবীন সৈনিক আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সৈনিক জীবনের সূচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৬২১ জন পুরুষ এবং ৪৯ জন নারী।
আজ বৃহস্পতিবার বিজিবি ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথি বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম নবীন সৈনিকদের শপথবাক্য পাঠ করান।
এরআগে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মুজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল পৌনে ১০ টায় শুরু কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
প্যারেড কমান্ডার হিসেবে প্যারেড পরিচালনা করেন ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের অফিসার ইনচার্জ মেজর মো. সেলিমুদ্দোজা।
প্যারেড এডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। এ ব্যাচের প্রশিক্ষণে সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন নুরুল হুদা মামুন।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বিজিবি’র ৮১৭ অকুতোভয় বীর বিশেষ করে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ ও শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখসহ মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য এই বাহিনীর ৮ জন বীরউত্তম, ৩২ জন বীরবিক্রম এবং ৭৭ জন বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিতদেরও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, কিংবদন্তীর মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ বাহিনী সুনাম ও সাফল্যের পথপরিক্রমায় বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা লাভ করেছে। বিজিবি আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে। এ বাহিনী এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে, শৃঙ্খলাই একজন সৈনিকের মূল ভিত্তি। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা ও নিষ্ঠা, আনুগত্য ও নির্ভরযোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মতৎপরতা একটি বাহিনীর পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি।