মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সাখাওয়াত হোসেন ও বিল্লাল মারা যাওয়ায় তাদের আপিল মামলা অকার্যকর ঘোষণা করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এই আদেশ দেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলার আট আসামির মধ্যে কেশবপুরের অন্য সাত রাজাকারকে দেয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ।
আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত সাতজন হচ্ছেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
একই মামলার ওই আট আসামির মধ্যে গ্রেফতার ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন। বাকি ছয়জন পলাতক।
গ্রেফতার দুই জন রায়ের পরে আইন অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকার সময় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং সম্প্রতি সাখাওয়াত হোসেন মারা যান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন যশোরের কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার। অন্য আসামিরা ছিলেন একই বাহিনীর সদস্য। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সাখাওয়াতের নেতৃত্বে জেলার কেশবপুরে বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন আসামিরা। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে এলাকার সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগে বাধ্য হন।
সাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াত থেকে সংসদ নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাবস্থায়ই ১৯৯৫ সালে তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সর্বশেষ সাখাওয়াত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।