দেশে গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ সোমবার ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এর সভাপতিত্বে ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত ধারণাপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় জানানো হয়, দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮-২০৩০’ এর পাঁচ বছর মেয়াদী অগ্রাধিকার কার্যক্রম বা¯তবায়নের অংশ হিসেবে দেশে একটি বিশ্বমানের ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ও ডক্টরাল ডিগ্রি প্রদান করা এবং গবেষণার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হবে।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ইউজিসি প্রফেসর ড. হাসিনা খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ এ মামুন এবং ইউজিসি’র স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি এসুরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম যুক্ত ছিলেন।
প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধারণাপত্র তৈরির জন্য ইউজিসি একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি চলতি মাসের মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা সম্বলিত লিখিত মতামত কমিশনে জমা দিবে। ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় যাতে দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও ডেল্টা প্ল্যান বা¯তবায়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে সেদিকে ইউজিসি নজর রাখবে।
ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কমিশন একটি পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষায় ফলপ্রসূ গবেষণার কোন বিকল্প নেই। ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধন এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্বজ্ঞান ভান্ডরে যুক্ত হবে।