বুস্টার ডোজ ওমিক্রন মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলেজানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বব্যাপী ওমিক্রনের আতঙ্ক কাজ করছে, বুস্টার ডোজে ওমিক্রন অনেকটাই প্রতিরোধ হয় বলে জানা গেছে। যেহেতু সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন মজুদ আছে, সেকারণে আমরা এখন থেকেই বুস্টার ডোজ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ডোজ প্রথমে ষাটোর্ধ বয়স্ক ব্যক্তি, কো মর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তি এবং সেই সাথে সকল ফ্রন্ট লাইনারদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রোববার মহাখালী বিসিপিএস মিলনায়তনে বুস্টার ডোজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টারের এই ডোজ গ্রহণকারীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। আগে যেকোনো ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি এটা একটি বড় অর্জন আমাদের। এর আগে আমরা অনেক দেশের আগেই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। ডাক্তার, নার্সসহ ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিতে পেরেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ে টিকা দেবার ফলে দেশ এখন নিরাপদে আছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। শনিবার এক শতাংশেরও নিচে এসেছে সংক্রমণের হার। এটি এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল একটি বিষয়। সবার সহযোগিতায় আমরা কাজটি করে যাচ্ছি। প্রতিটি মানুষকেই প্রাপ্য টিকা দেয়া হবে। কেউই টিকার আওতার বাইরে থাকবে না। তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে টিকার কোন সংকট নেই। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেবার যে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে সে লক্ষ্য পূরণে আমাদের কাজ সঠিকভাবেই চলছে। দেশের সত্তর শতাংশ মানুষের জন্য হিসেব করলে ১২ কোটির কাছাকাছি মানুষকে আসছে বছরের এপ্রিলের মধ্যে টিকার আওতায় আনতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যেই দুই ডোজ মিলে প্রায় ১১ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন হাতে ভ্যাক্সিন আছে ৪ কোটি ৬৩ লাখের মতো। এ মাসে আরো ২ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন আসবে। নতুন বছরের শুরুর দিকে আরো ৯ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন হাতে চলে আসবে। সুতরাং নতুন বছরের এপ্রিলের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করা যায়।
সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে। একইসঙ্গে স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে সবার আগে বুস্টার ডোজের টিকা নেন দেশে প্রথম টিকা নেওয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ডা. শায়লা খাতুন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বুস্টার ডোজ টিকা নেন।