বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য কাল বুধবার আদালতের কার্যতালিকায় থাকবে।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি আগামীকাল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে বলে রিটের পক্ষে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এডভোকেট নাহিদ সুলতানা বলেন, আজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবেদন এসেছে। পাসপোর্ট অফিস থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, ম্যারিজ সার্টিফিকেট, করোনা চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের তথ্য, এসএসসি’র নিবন্ধনের তথ্য এসেছে। এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, সেদিনও খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় তার যে জন্মতারিখ দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেটি নিয়ে জনগণ এখন খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্মদিন জানতে চান। তাই আমরা আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, বিয়ের রেজিস্ট্রি, নির্বাচন কমিশন, পাসপোর্ট অফিসে জন্মদিন আলাদা কি না বা কোনটা আসল জন্মদিন আমরা সেটিই জানতে চাই।
এর আগে গত ১৩ জুন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্টরা হাইকোর্টে এই নথিপত্র দাখিল করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জন্মতারিখ ব্যবহারের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি করেন আইনজীবী মামুনুর রশিদ।