বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার বলেছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৩৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। নতুন ভ্যারিয়েন্ট বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ এর বিস্তার রোধে তৎপর হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ওমিক্রন সংক্রমনে দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কতটা শক্তিশালী তা নিরুপনে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। এটি গুরুতর অসুস্থতার কারণ কি-না এবং এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন রয়েছে সেটি যাচাই করে দেখা হবে।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেছেন, ‘আমরা এর ফলাফল পেতে যাচ্ছি, যা প্রত্যেকেরই জানা উচিত।’
ডব্লিউএইচও শুক্রবার বলেছে, এখনো ওমিক্রন সম্পর্কিত মৃত্যুর কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে আগামী কয়েক মাসে এর সংক্রমণ ইউরোপে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যার অর্ধেক ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা শুক্রবার বলেছেন, ডেল্টা ধরনের মতোই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিকে ধীর করে দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের আগেও আমরা পুনরুদ্ধার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। যদি এ অবস্থা চলতে থাকে তাহলে পুনরুদ্ধারের গতি কিছুটা হারাবে।’
‘এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মানুষের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে পারে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকদের প্রাথমিক সমীক্ষায় বলা হয়, সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম গত ২৪ নভেম্বর শনাক্ত করা হয়। এতে বলা হয়-ডেল্টা ও বিটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন স্ট্রেনের পুনঃসংক্রমণের সম্ভাবনা তিন গুণ বেশী।
রেডক্রসের প্রধান ফ্রান্সেসকা রোকা বলেছেন, ভ্যাকসিনের অসম বন্টনের কারনে বিপদের ‘চূড়ান্ত প্রমাণ’ হচ্ছে ওমিক্রনের উত্থান।