স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের ষাটোর্ধ ব্যক্তি ও যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদেরকে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হবে। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরুর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ^ব্যাপি আলোচিত দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশই টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছে। আমাদের দেশের ষাটোর্ধ ও কো-মর্বিডিটি যাঁদের আছে সেসব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দিলে করোনায় মৃত্যুহার আরো অনেকটাই কমে আসবে।
‘ওমিক্রন’ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আফ্রিকার ৭টি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইনে রাখা হবে। দেশে প্রথম করোনা চলে আসার ঘটনা আমাদের সকলেরই জানা আছে। ইটালি থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে যেভাবে করোনা চলে এসেছিল, এবার আর সেই ঝুঁকিতে যাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আফ্রিকা অঞ্চলের আক্রান্ত দেশগুলি থেকে যাঁরাই দেশে আসবে তাঁদেরকে দেশের সেনা সদস্যদের সহায়তায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইনে থাকতে হবে। আক্রান্ত অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সেই দেশে কীরকম আক্রান্ত হয়েছে তা দেখে একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের সব মানুষকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে শীঘ্রই ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ স্লোগাণ বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষকে ১ম ও ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। অন্যান্য মানুষদেরও ভ্যাকসিন দেয়া হবে। কারণ সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে, ভ্যাকসিন গ্রহণে অনেকেরই আগ্রহ কম থাকায় এখন থেকে নতুন একটি স্লোগান তৈরি করা হয়েছে ভ্যাকসিন সনদ ছাড়া কোথাও কোন ধরণের সার্ভিস পাওয়া যাবে না। দেশের স্বাস্থ্যখাত বিষয়টি যথাযথভাবে পালনের জন্য শীগ্রই জেলা পর্যায় থেকে দেশের সর্বত্র একটি চিঠি প্রেরণ করবে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা পর্যায় থেকে সর্বোত্র সব ধরণের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সকল কার্যক্রম পালনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভা সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েরর সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।