সাভার ও ধামরাই উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত বংশী নদী দখল ও দূষণ বন্ধ করে দায়ীদের বিষয়ে প্রতিবেদন না দেয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করা হয়েছে।
বংশী নদী দখল ও দূষণ বন্ধ চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিসহ ১৪ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করে এর আগে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ বাকির হোসেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট বাকির হোসাইন।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারের উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারছে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা।’
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মোঃ বাকির হোসেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), রাজউক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), সাভারের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সাভারের ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড), ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন না দেয়ায় বিষয়টি আজ আদালতের নজরে আনেন রিট আবেদনকারী।