- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৭
- ৮২৯ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক:- বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাঁচ বছরের সাজায় বেশ চটেছেন সালমান ভক্তরা। অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন। এদের মধ্যে আলোচনায় এখন ভারতের পাটনায় বসবাসরত জোড়া বোন ফারাহ ও সাবা। নিজেদের সালমান খানের সখীবোন মনে করেন তারা। তাই ভাইয়ের সাথে জেল খাটতে চায়ছে তারা। ক্ষুব্ধ হয়ে ফারাহ বলেছেন, ‘ভাইজানকে বন্দি রাখা খুবই দুঃখজনক। আমাদেরকেও একই কারাগারে বন্দি করুন।’
জন্ম থেকেই ফারাহ ও সাবার মাথা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। পাটনার সামানপুরা এলাকায় বাস করেন তারা। অনেক চিকিৎসার পরও জোড়া বোনের মাথা আলাদা করা সম্ভব হয়নি। দু’জনই নিজেদের সালমানের ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
আট বছর আগে সালমান খানের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। সালমানকে দেখার আকুল আগ্রহ প্রকাশ করেন দুইবোন। বিষয়টা সালমানের কানে পৌঁছালে জোড়া বোনের জন্য উড়োজাহাজের টিকিট পাঠিয়ে দেন ও মুম্বাইয়ে থাকার ব্যবস্থা করেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ তারকা। এর সুবাদে স্বপ্নের শহরে আসার সুযোগ পায় ওই দুই মেয়ে। রাখীবন্ধনের দিনে ফারাহ ও সাবার সঙ্গে দেখা করেন সালমান। সেদিন তার হাতে রাখী পরিয়ে দেন জোড়া বোন।
সাবা বলেছেন, ‘আমরা গত আট দিন ধরে তার জন্য প্রার্থনা করছি। আদালতের রায়ে আমরা হতবাক হয়েছি, কারণ ভাইজান অপরাধী নন।’
৬ মে দুপুরে সালমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায় শুনে খাওয়া-দাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন তারা। দুপুরে খাবার নিয়ে যান সাবা ও ফারাহর বাবা শাকিল আহমেদ। সেই খাবার পড়ে থাকে টেবিলেই। একবার খাবারের থালাও স্পর্শ করেননি ওরা। যমজ কন্যার বাবা শাকিল আহমেদ অনেক চেষ্টা করেও ওদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারেননি। বিষণ্ণ বাবা নিজেও সালমানের খবরটিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিপন্ন হরিণ শিকারের মামলায় সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়ায় থমকে গেছে বলিউড। গত ৫ এপ্রিল বিকালে রাজস্থানের যোধপুর আদালত তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। এরপর যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর তিনি পেয়েছেন ১০৬ নম্বর কয়েদির পরিচয়।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..