সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটের জয় ছিলো অসিদের। ষষ্ঠ উইকেটে ৪১ বলে ৮১ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে তুলেন দুই ব্যাটার মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড।
১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে তিন ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন ওয়েড। ম্যাচ জিততে শেষ ২ ওভারে ২২ রানের প্রয়োজন ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। ২২ রানের প্রয়োজন ১৯তম ওভারে মিটিয়ে ফেলেন ওয়েড।
অথচ দলকে জেতানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না ওয়েড। ম্যাচের সেরা ওয়েড বলেন, ‘ব্যাট করতে নেমে আমি নিশ্চিত ছিলাম না দলকে জেতাতে পারবো কি-না। কিন্তু অন্য প্রান্তে স্টয়নিস অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল। শুরুতে আমি কিছুটা নড়বড়ে ছিলাম। তখন স্টয়নিস বড় শট খেলে চাপ কমিয়ে দেয়। আমি যতটা ভেবেছিলাম, তার থেকে জোরে ও ভালো বল করছিল শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে এটিও জানতাম, দু’টো বল সর্বোচ্চ রান নিতে পারলে খেলা মোড় ঘুরে যাবে। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।’
১৯তম ওভারে হাসানকে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান ওয়েড। জীবন পেয়েই টানা তিন বলে তিন ছক্কা মারেন ওয়েড। অনেকেই বলছেন, হাসানের ক্যাচ মিস টার্নিং পয়েন্ট। কিন্তু পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম সেটি মানতে পারেননি। এমনটা মানতে পারছেন না ওয়েডও। তিনি জানান, হাসানের ক্যাচ মিস নয়, স্টয়নিসের ইনিংসটিই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে।
ওয়েড বলেন, ‘আমার মনে হয়, এমন একটা সময়ে ক্যাচটি মিস হয়েছে যখন বাকি রান করার মতো ভালো অবস্থানে আমরা ছিলাম। তিন-চার ওভার আগে এটা ঘটলে হয়তো ম্যাচের ফলাফলে বেশি প্রভাব পড়তো। তাই আমার মনে হয় না, ঐ ক্যাচ মিস ম্যাচের ফলাফলে খুব বড় প্রভাব রেখেছে। আমার মতে স্টয়নিসের শেষ দিকে যেভাবে ব্যাট করল, সত্যি বলতে সেটাই ছিল সম্ভবত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’
ম্যাচে ৩১ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ৪০ রান করেন স্টয়নিস। অন্যপ্রান্তে মাত্র ১৭ বলে অনবদ্য ৪১ রান করেন ওয়েড। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।
কিছুদিনের জন্য দলের বাইরে থাকার পরও, দলের জয়ের অবদান রাখতে পেরে খুশি ওয়েড, ‘আমি কিছু দিন দলেরবাইরে থাকলেও, আবার সুযোগ পেয়ে এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি।’