স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের জন্য ফাইজারের ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সংস্থান হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে। তারমধ্যে প্রায় ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের সংস্থান হয়ে গেছে। অবশিষ্ট আরো ১ কোটি ডোজ দ্রুত সংগ্রহের ব্যবস্থা করে দেশের সকল এলাকার ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে।’
জাহিদ মালেক আজ রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঢাকাসহ দেশব্যাপি ১২-১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী শিশুদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনটি উপযুক্ত ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সব থেকে বেশি পাওয়া গেছে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাও শিশুদেরকে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেবার অনুমোদন করেছে। একারণে আমরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের প্রায় ৩ কোটি শিক্ষার্থী ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদেরকে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত দেশে ৯৬ লাখ ডোজ এসেছে। এরমধ্যে নানাভাবে এই ভ্যাকসিন ১৪ লাখ ডোজ দেয়া হয়েছে। হাতে এখন আছে ৮২ লাখ ডোজ। খুব দ্রুতই ফাইজারের আরো ৯২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন চলে আসবে।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার ৮টি কেন্দ্রে প্রতিটি থেকে ৫ হাজার ডোজ করে দিনে প্রায় ৪০ হাজার শিশুকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যেহেতু ফাইজারের টিকাটি বিশেষ তাপমাত্রায় রাখতে হয়, তাই সব ব্যবস্থা ঠিক করে দ্রুতই সারাদেশের ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মণি শিক্ষার্থীদেরকে টিকা নেবার আগে ও পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। টিকাদান কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল কে মিলার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।