ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এ মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে পারলেন না বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
মুশফিক ও সাকিবের পর বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন নাসুম। কিন্তু সেরার মুকুট পড়তে পারলেন না নাসুম।
নাসুম ও যুক্তরাষ্ট্রের জাসকারান মালহোত্রাকে টপকে আইসিসির সেপ্টেম্বরের ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’-এর সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন নেপালের লেগ-স্পিনার সন্দিপ লামিচান। এক বিবৃতিতে এমনটাই নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
গত মে মাসে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মুশফিক। পরে জুলাইয়ে মনোনয়ন পেয়ে বাজিমাত করেন সাকিব। সেরার স্বীকৃতি পান তিনিও।
গত মাসে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগ-২ এ অসাধারণ বোলিং নৈপুন্য প্রদর্শন করেছেন লামিচান। ৬ ওয়ানডেতে ১৮ উইকেট নেন তিনি। ওভারপ্রতি ৩ দশমিক ১৭ রান দেন তিনি। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৩৫ রানে ৪টি ও ১১ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। এরপর ওমানের বিপক্ষে ১৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এতে গেল মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি।
গেল মাসে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন নাসুম। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন তিনি। সিরিজটি ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ। দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পুরস্কার হিসেবে গেল মাসের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম উঠে নাসুমের।
এদিকে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগ-২ এ ৬ ম্যাচে ২৬১ রান করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে মালহোত্রা। ঐ আসরে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার রেকর্ডও গড়েন তিনি। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। এক ওভারে ছয় ছক্কার ইনিংসে অপরাজিত ১৭৩ রান করেন মালহোত্রা। তার ইনিংসে ৪টি চার ও ১৬টি ছক্কা ছিলো। তাই সেপ্টেম্বরের সেরার তালিকায় মনোনয়ন পান মালহোত্রা।
নারীদের ক্রিকেটে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের হিথার নাইট। ইংল্যান্ড অধিনায়ক পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ চার্লি ডিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লিকে।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে থাকেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ। আর সমর্থকদের বাকি ১০ ভাগ ভোট থাকে।