মোহাম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনোর জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পোর্তোকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন লিভারপুল। পোর্তোর মাঠে অল রেডদের হয়ে বাকি গোলটি করেছেন সাদিও মানে।
পর্তুগীজ চ্যাম্পিয়ন পোর্তোর জন্য কালকের রাতটা ছিল ভয়াবহ। লিভারপুলের বিপক্ষে এ নিয়ে ঘরের মাঠে শেষ তিনটি ম্যাচে পোর্তো ১৪ গোল হজম করার তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করলো। বিশেষ করে গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার বাজে পারফরমেন্সেই পোর্তোকে কাল এত গোল হজম করতে হয়েছে।
ম্যাচের শুরুতেই অধিনায়ক ও সেন্টার ব্যাক পেপে অনুশীলনে ইনজুরিতে পড়লে পোর্তোর কপাল পোড়ে। পাশাপাশি ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটের মধ্যে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে মিডফিল্ডার ওটাভিও মাঠ ত্যাগে বাধ্য হলে ম্যাচটিতে টিকে থাকাই দু:সহ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিপক্ষের এই সুযোগগুলো পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে লিভারপুল। ১৭ মিনিটে কস্তার একটি দুর্দান্ত ভুলে সালাহ লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে আবারো কস্তা ভুল করে বসলে এবার সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সাদিও মানে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ডান দিক থেকে জেমস মিলনারের দেওয়া ক্রস পায়ে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের জালে জড়ান সেনেগালিজ এ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও পোর্তোকে কোনঠাসা করে রেখেছিল লিভারপুল। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল পর্তুগীজ ক্লাবটি। তারই ধারাবাহিকতায় ৬০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে অল রেডদের ব্যবধান বাড়ান সালাহ। আবারও কার্টিস জোন্সের ক্রস কাজে লাগিয়ে ডি-বক্স থেকে হালকা ফ্লিকে লক্ষ্যভেদ করেন এ মিশরীয় তারকা ফরোয়ার্ড। ৭৪ মিনিটে মেহেদি তারিমের গোলে কিছুটা স্বস্তি পায় পোর্তো। ফ্যাবিও ভিয়েরার ক্রসে দুর্দান্ত এক হেড দিয়ে গোলপোস্টে জড়ান ইরানের এ ফরোয়ার্ড। কিন্তু ২ মিনিট পর ফিরমিনোর গোলে আর বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে পোর্তো। গোলরক্ষক কস্তার ভুলে বল পেয়ে ব্রাজিলিয়ান এ স্ট্রাইকারকে দিয়ে গোল করান জোন্স। ৮১ মিনিটে আবারও জোন্সের ভলি থেকে পাওয়া বল পোর্তোর জালে জড়ান ফিরমিনো। অফসাইডের সম্ভাবনা থাকলেও ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
এনিয়ে দুই ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে পূর্ণ ৬ পয়েন্টসহ বি-গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে লিভারপুল।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে এসি মিলানকে ২-১ গোলে পরাজিত করতে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৯৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। সান সিরোতে ২০ মিনিটে রাফায়ের লিয়াওর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক মিলান। ৮৪ মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের গোলে সমতায় ফিরে এ্যাথলেটিকো। এরপর ইনজুরি টাইমে ৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের স্পট কিকে জয় নিশ্চিত হয় এ্যাথলেটিকোর।
২৯ মিনিটে আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ফ্রাংক কেসির দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে মাঠ ত্যাগ করতে হলে বাকি সময়টা মিলানকে ১০ জন নিয়েই খেলতে হয়েছে। সাতবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান ২০১৩ সালের পর এখনো পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন জয়ের দেখা পায়নি। দুই ম্যাচে দুটিতেই পরাজিত হয়ে তলানিতে অবস্থান করছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।