ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসলে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার খুলে দেয়া হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্স-এর যেসব শিক্ষার্থী অন্ততঃ করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং এসওপি (স্ট্যান্ডাড অপারেটিং প্রসিডিউর) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড বা সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে গ্রন্থাগার ব্যবহার ও নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় বা ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরিসমূহ ব্যবহার করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষার্থীরা ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরও টিকা গ্রহণের সনদ বা প্রমাণপত্র সাথে রাখতে হবে।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশিকা সম্বলিত ব্যানার বা ফেস্টুন থাকবে।
আবাসিক হল ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে উল্লেখ করে নিদের্শনায় বলা হয়, টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত কোন ‘গণরুম’ রাখা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করবে।
সভায় হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে সব শিক্ষার্থী এখনও টিকা রেজিষ্ট্রেশন করেনি, তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় এসে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।