কঠিন বাস্তবতার মাঝেও বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে তার দল ঘুরে দাঁড়াতে চায়-জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ধারনার চেয়েও অনেক কঠিন বলে উল্লেখ করেন প্যাটেল। তবে দ্রুতই এই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা।
গতকাল থেকে শুরু হওয়া সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নিজেদের টি-টুয়েন্টিতে ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনি¤œ ৬০ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি ৭ উইকেটে হারে কিউইরা। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের কাছে প্রথম হার দলটির। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
আজ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্যাটেল বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শেষ পর্যন্ত মাঠে নেমে ভালই লেগেছে। আমরা কয়েক দিনর যাবত অনুশীলন করছি। কিন্তু আপনি মাঠে না নামা পর্যন্ত কখনই বুঝবেন না সেখানকার কন্ডিশন কেমন হবে। এখান থেকে খুব দ্রুত শিখেই আমরা পরের ম্যাচে মানিয়ে নেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরের ম্যাচে কাজে লাগানোর জন্য বুধবার প্রথম ম্যাচের শিক্ষা এবং আমাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে।’
আজাজ অবশ্য এমন কন্ডিশনেও ভালো বল করেছেন। চার ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন তিনি। কিন্তু বোর্ডে নিউজিল্যান্ডের রান এত ছোট ছিল যে বোলারদের লড়াই করার উপায় ছিলো না।
প্যাটেল বলেন, ‘ এমন সহায়ক পিচে একজন স্পিনার হিসেবে সব সময়ই আপ নার ভাল লাগবে।এটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি একটু অন্যরকম হলে ভালো হতো। আমি মনে করি এটা আমাদের সকলের জন্য জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।’
বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভাল করতে রঙ্গনা হেরাথ ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির কাছে সহায়তা নিয়েছেন প্যাটেল। বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা ছিল ভেট্টোরির। কারণ জাতীয় দলের হয়ে স্পিন বোলিং পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। যেহেতু তিনি নিজেও একজন বাঁহাতি স্পিনার, প্যাটেল বিশ্বাস করেন হেরাথ এবং ভেট্টোরি তাকে অনেক উপায়ে সহায়তা করতে পারে কারণ তারা দুজনই কিংবদন্তি বাঁ-হাতি স্পিনার।
তিনি বলেন, ‘ড্যান (ড্যানিয়েল ভেট্টোরি) এবং রঙ্গনা হেরাথ এমন দু’জন মানুষ যাদেরকে আমি বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে দেখছি। রঙ্গনার সাথে আমার সংক্ষিপ্ত কথা হয়েছে। আমি আজ ড্যানের সাথে কথা বলেছি, শুধু বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। এখন সেভাবেই আমি কিছু করার অপেক্ষায় আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো বিশ্ব জুড়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি ভেট্টরি। বাঁ-হাতিদের নিয়ে তিনি ভালো জানেন । অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন এবং যা তিনি সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করেছেন। কিভাবে চ্যালেঞ্জের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন তা বুঝতে তার অভিজ্ঞতা নেয়াটা ভাল হবে। এটি আমাকে এই কন্ডিশনে ভালো করতে সহায়তা করবে।’