তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা চালু হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ কমাবে। শহরে গিয়ে আর হাসপাতালে ছুটাছুটি করতে হবেনা। তিনি বলেন, ‘আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২তম। কিন্তু আয়তনের দিক দিয়ে ছোট হলেও বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ-কিংবা পঞ্চম, আলু উৎপাদনে সপ্তম অবস্থানে। এসব সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে।’ মন্ত্রী আজ সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার বাসভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করেন চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালের পরিচালক সিরাজুল করিম। এসময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ ও বিতরণ, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোভিড-১৯ প্রণোদনার আওতায় ঋণ বিতরণও উদ্বোধন করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই রাঙ্গুনিয়াবাসির সেবায় এনএনকে ফাউন্ডেশন পাশে রয়েছে। এবার রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ দশমিক ৮ কিউবেক লিটারের ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছে। ফলে এখন রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে আসা কোনো করোনা রোগীকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবার জন্য শহওে ছুটতে হবে না। তিনি বলেন, ‘মৎস্যপোনা প্রতিবছর সারাদেশব্যাপী অবমুক্ত করা হয়। এরফলে দেশে মাছের উৎপাদন প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ এখন অত্যন্ত সহজলভ্য। আমাদের সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কৃষি উৎপাদন আরও বাড়িয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা। গত বছর ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি টাকা আয় হয়েছে কৃষি পণ্য রপ্তানি করে। এটি বছর বছর আরও বৃদ্ধি পাবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহজ শর্তে গ্রামীন জনগোষ্টিকে ঋণ দিচ্ছে বিআরডিবি’র মাধ্যমে। এই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনগোষ্টিকে সঞ্চয় করানো হয় এবং তার উপর লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। এভাবে সরকার নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে গ্রামীণ জনগোষ্টির ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে চলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন গ্রাম আর শহরের মধ্যে সহজে প্রার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। গ্রামে এখন সবধরণের সুবিধা আছে। এসময় রাঙ্গুনিয়া প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও ইফতেখার ইউনুস, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, এনএনকে ফাউন্ডেশনের পরিচালক খালেদ মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজীব চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব প্রাসাদ চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইউসিসিএ’র চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি, পার্কভিউ হাসপাতালের পরিচালক সিরাজুল করিম বিপ্লব প্রমুখ।