করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের চেয়ে আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা আড়াইগুণের বেশি। এ সময় কভিডে ৬ জনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এবং নগরীর সরকারি-বেসরকারি আট ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৬৯ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১২১ ও গ্রামের ১৪৮ জন। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৩০, রাউজানে ২৭, সাতকানিয়ায় ১৭, ফটিকছড়ি ও বাঁশখালীতে ১৪ করে, আনোয়ারায় ১১, লোহাগাড়ায় ১০, বোয়ালখালীতে ৯, চন্দনাইশে ৭, সীতাকু- ও পটিয়ায় ৪ জন করে এবং সন্দ্বীপে একজন রয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তি ৯৮ হাজার ৫৩৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৭১ হাজার ৭৫৫ ও গ্রামের ২৬ হাজার ৭৮২ জন।
কভিড-১৯ এ আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহরের ২ ও গ্রামের ৪ জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২০৯ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৬৮২ ও গ্রামের ৫২৭ জন। নতুন করে আরোগ্যলাভ করেছেন ৭২৩ জন। জেলায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৬৮ হাজার ৯৩৯ জন হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৯ হাজার ৫৯৩ ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৯ হাজার ৩৪৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৬৫ জন। ছাড়পত্র নেন ৩৭১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৯১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে ৪৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩২ ও গ্রামের ৪৮টি পজিটিভ শনাক্ত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১২ ও গ্রামের ৩৫ জনের দেহে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪৯ জনের নমুনায় শহরের ১১ ও গ্রামের ১৩ জনের মধ্যে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১৩৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ১১ ও গ্রামের ৪ জনের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ৩২ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১২ নমুনায় গ্রামের একজনসহ ৮ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিসহ ১২টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯৪টি নমুনায় শহরের ৬টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫৫ নমুনায় শহরের ১০টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ১৮২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে গ্রামের ১৪ জন করোনার ভাইরাস চিহ্নিত হয়।
অপর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ারে এ দিন কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৮ দশমিক ৯৫, চমেকে ১৬ দশমিক ১০, এন্টিজেন টেস্টে ১০ দশমিক ৭৯, চবি’তে ৩৭ দশমিক ৫০, আরটিআরএলে ৬৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ৬ দশমিক ৪১, ইম্পেরিয়ালে ৬ দশমিক ৩৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ১৮, মেডিকেল সেন্টারে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ।