চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৩৩৮ জন করোনা শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আরোগ্যলাভ করেন ৬৫৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও ১০ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩৮ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে শহরের ২২৬ ও ১২ উপজেলার ১১২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মাঝে হাহাজারীতে সর্বোচ্চ ৩৩, ফটিকছড়িতে ২৬, রাউজানে ১৩, পটিয়ায় ৮, লোহাগাড়ায় ৭, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ৬ জন, সীতাকু-ে ৪, সন্দ্বীপ ও বাঁশখালীতে ৩ জন, আনোয়ারায় ২ ও বোয়ালখালীতে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৫ হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে শহরের ৭০ হাজার ২৮০ জন ও গ্রামের ২৫ হাজার ৫৭৪ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের ৬ রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৫০ জন। এতে শহরের ৬৫৮ ও গ্রামের ৪৯২ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬৫৯ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৬২ হাজার ৮৫৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৬৫ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৩ হাজার ৭৯৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৭৯ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৮৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ৬১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৬ ও গ্রামের ৩৪ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৭৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩২ ও গ্রামের ৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৭০টি নমুনায় শহরের ৩১ ও গ্রামের ২৭টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮ জন ও গ্রামের ১০ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ১১৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ২৪ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪ ও গ্রামের ২টির জীবাণুবাহক শনাক্ত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯০টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ২২টি, শেভরনে ১৭৩ নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিসহ ১৯টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ৬টি, মেডিকেল সেন্টারে ৫৩ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২০টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৭২ নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪টিসহ ২৫টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ২৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টির পজিটিভ ও অবশিষ্টগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, চমেকে ১২ দশমিক ৯৫, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ৪৮, চবি’তে ৩৮ দশমিক ৩০, এন্টিজেন টেস্টে ২০ দশমিক ৬৯, আরটিআরএলে ৩৭ দশমিক ৫০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১ দশমিক ৫৮, শেভরনে ১০ দশমিক ৯৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ দশমিক ৩৮, মেডিকেল সেন্টারে ৩৭ দশমিক ৭৩, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৪ দশমিক ৭২ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।