বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থ নেইমারকে ফের সঙ্গী হিসেবে পেতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। যার মাধ্যমে প্যারিস সেন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) আক্রমণভাগ হয়ে উঠছে অল স্টার ফর্মেশনে। তবে আর্জেন্টাইন সুপার স্টারের আগমনে পিএসজিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের ভভিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
পিএসজি অবশ্য পরিকল্পনা করছে তিন তারকাকে নিয়েই আক্রমনভাগ সাজানোর। তাদের আশা, এর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে ক্লাবটি। তারপরও এমবাপ্পের দীর্ঘ মেয়াদি ভবিষ্যৎ হুমকিতে পড়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে মাত্র দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে পিএসজিতে এসেছেন মেসি। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী এ জন্য প্যারিস জায়ান্টদেরকে পরিশোধ করতে হবে বছরে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ইউরো। সেখানে অবশ্য চুক্তির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
মে মাসে ২৯ বছরে পদার্পন করা নেইমার প্যারিস জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন। এটিকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন তিনি। অপরদিকে এই মৌসুম শেষেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এমবাপ্পের। যাকে দীর্ঘ দিন ধরে টার্গেট করে রেখেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।
মাদ্রিদ ভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক এএস এর মঙ্গলবারের রিপোর্টে ‘এমবাপ্পেকে সম্ভব’ শিরোনামে লেখা হয়েছে,‘ মেসির পিএসজিতে আগমনের ফলে এমবাপ্পেকে একপাশে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে তার মাদ্রিদে আগমনের পথ সুগম হয়েছে।’
এদিকে নিজের ভবিষ্যৎ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন এমবাপ্পে। এটি পিএসজিকে একটি অস্বস্বিস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। তারা যেমন তাকে বিক্রি করার কথা ভাবছে না, তেমনি আবার ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর এই খেলোয়াড়কে দলেও দেখতে চায় না। যেটি ছিল দলবদলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগামী জুনে তার সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বিনা ট্রান্সফার ফিতেই তাকে ছাড়তে হবে পিএসজিকে।
গত মে মাসে টেলিভিশন সম্প্রচারক চ্যানেল প্লাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘সবাই জানে আমি এই ক্লাবটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জুড়িত। তবে আমি এটিও অনুভব করতে চাই যে আমি এমন জায়গায় আছি, যেখানে সত্যিই জয় পাওয়া সম্ভব। এমন একটি প্রকল্পে আমি কাজ করতে চাই।’
মেসির আগমনে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ কি হবে পশ্নœ করা হলে জবাবে প্যারিস সেন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) চেয়ারম্যান নাসের আল-খালাফি বলেছেন, মেসির আগমনে কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার কোন কারণ নেই।’
তিনি বলেন,‘ কিলিয়ান প্যারিসের নাগরিক। তিনি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন একজন তারকা। তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন ক্লাব পেতে চান।
আর এখন আমাদের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি কোন ক্লাব নেই। এখন থেকে যাবার কথা ছাড়া, আর কোন অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই তার।’