চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুহার উর্ধ্বগতি হলেও মানুষের জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার লকডাউন শিথিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই লকডাউন শিথিলতাকে অবজ্ঞা করলে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক রূপ নিতে পারে।
মেয়র আজ সোমবার সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ বিন্যাঘাস প্রকল্প চত্ত্বরে মোজাইক ও টাইলস লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী (খাদ্য) বিতরণকালে এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লেবার ফেডারেশন মহানগর কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, লোড-আনলোড শ্রমিক নেতা ফেরদৌস জামান মুকুল, রবিউল ইসলাম, নুরে আলম, এমএন ইসলাম রানা, মো. কামরুল ইসলাম, মো. বেলাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, মো. হেলাল প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষিত সকল স্বাস্থ্যবিধি নিজেদের স্বার্থে মেনে চলতে হবে। তিনি সরকার কর্তৃক গণটিকা দান কর্মসূচি চলাকালে নিজের টিকা নিজে গ্রহণ করে অন্যেকে টিকা নিতে সকল ধরণের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চসিক মাসব্যাপী মশক নিধনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে। প্রতিদিন ৪ ওয়ার্ডে ১০০ জন স্প্রেম্যান দিয়ে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জনসাধারণকে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে নিজেদের ঘরবাড়ির আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং কোথাও যাতে স্বচ্ছ পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলাকালে কোন অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অবগত করার আহ্বান জানান।
এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নিকট জাতীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষে স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী চসিক আইসোলেশন সেন্টারের জন্য একটি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন কনসোলেটর হস্তান্তর করেন। অক্সিজেন কনসোলেটর গ্রহণকালে মেয়র বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় এ ধরণের মহতি উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মো. মোবারক আলী, পুলক খাস্তগীর, সমাজসেবক সত্যজিৎ চৌধুরী টুলু উপস্থিত ছিলেন।