চট্টগ্রাম জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনায় পরীক্ষায় ৯৩৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব এবং দশটি ল্যাবে গতকাল শনিবার ৩ হাজার ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫১৯ জন ও ১৪টি উপজেলার ৪১৪ জন। সংক্রমণ হার ৩০ দশমিক ৫২ শতাংশ।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাঙ্গুনিয়ায় ৮০ জন, হাটহাজারীতে ৭১ জন, রাউজানে ৬৯ জন, বোয়ালখালীতে ৫৭ জন, সাতাকানিয়ায় ৩৭ জন, সীতাকু- ও চন্দনাইশে ১৮ জন করে, ফটিকছড়ি ও আনোয়ারায় ১৫ জন করে, লোহাগাড়ায় ১১ জন, বাঁশখালীতে ১০ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন এবং সন্দ্বীপ ও পটিয়ায় ৩ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৯০ হাজার ৫২১ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৬ হাজার ৮৯৪ জন ও গ্রামের ২৩ হাজার ৬২৭ জন।
গতকাল করোনায় শহরের ১০ ও গ্রামের ৫ রোগীর মারা গেছে। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৫৯ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৬২১ জন ও গ্রামের ৪৩৮ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৭৫ জন। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ৯৫৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ২৭৬ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৮০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪৭১ জন এবং ছাড়পত্র নেন ২৭৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ৩৭২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৬৩৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৭৪ জন ও গ্রামের ৬৪ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০৪ জন ও গ্রামের ৬১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৬০৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১১২ ও গ্রামের ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৪১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭৩ ও গ্রামের ১২৯ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৬৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ৮৭ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৭ টি নমুনায় শহরের ২ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৬০ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৬০ ও গ্রামের ১২ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৩ টি নমুনায় শহরের ১৫ ও গ্রামের ২ টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫৯ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ টিসহ ২১ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৯ টিসহ ৬৩ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৩৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া অবশিষ্টগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এন্টিজেন টেস্টে ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩৭ দশমিক ৩২, চমেকে ২৬ দশমিক ০৩, চবি’তে ৪৮ দশমিক ২১, সিভাসু’তে ৩৫ দশমিক ৭১, আরটিআরএলে ২৮ দশমিক ৫৭, শেভরনে ২৭ দশমিক ৬৯, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৯ দশমিক ৫৩, মেডিকেল সেন্টারে ৩৫ দশমিক ৫৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫১ দশমিক ২১ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।