চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ সময়ে ৮ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং আরো নয়টি ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৭২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৯২৮ জনের মধ্যে শহরের ৫৬৩ ও ১৪ উপজেলার ৩৬৫ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৮৯ হাজার ৫৮৮ জন। এর মধ্যে শহরের ৬৬ হাজার ৩৭৫ ও গ্রামের ২৩ হাজার ২১৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৯৯, রাউজানে ৬৮, বোয়ালখালীতে ৬০, ফটিকছড়িতে ৩৮, পটিয়ায় ৩৩, সীতাকু-ে ৩০, বাঁশখালীতে ১০, আনোয়ারায় ৭, সাতাকানিয়ায় ৬, চন্দনাইশে ৫, মিরসরাইয়ে ৪, রাঙ্গুনিয়া ও লোহাগাড়ায় ২ জন করে এবং সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের ৩ জন ও গ্রামের ৫ জন মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৪৪ জন। এতে শহরের ৬১১ ও গ্রামের ৪৩৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৬০ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ৬৮১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ২৩৬ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৯ হাজার ৪৪৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে যুক্ত হন ৪৪৮ জন এবং ছাড়পত্র নেন ২৭৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ২০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯২ ও গ্রামের ৭০ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫১৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১২৫ ও গ্রামের ৯৩ জন শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫৫ ও গ্রামের ১৪২ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩৪টি নমুনায় শহরের ৪৬ ও গ্রামের ১৮টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৪ জনসহ ২২ জনকে সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ৭টিসহ ৬২টিতে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯০টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৭টিসহ ৬৭টিতে, মা ও শিশু হাসপাতালে ১২৩টি নমুনায় গ্রামের ৪ টিসহ ৪৪টি, মেডিকেল সেন্টারে ৪৭ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩টিসহ ২২টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩৯ নমুনায় গ্রামের ৭ টিসহ ৬০টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন, চট্টগ্রামের ৯৭টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ১০টির রিপোর্ট পজিটিভ এবং অবশিষ্ট ৮৭টির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২৭ দশমিক ১৩ শতাংশ, চমেকে ৪২, চবি’তে ৪৬ দশমিক ৩৫, সিভাসু’তে ২৭ দশমিক ৩৫, এন্টিজেন টেস্টে ১৮ দশমিক ৪৮, শেভরনে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ৩৫ দশমিক ২৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৫ দশমিক ৭৭, মেডিকেল সেন্টারে ৪৬ দশমিক ৮১, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩ দশমিক ১৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ল্যাবে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।