চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের মধ্যে মানবিকতা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক হতে যারা এসেছেন তারা একটি মহৎ কাজে শামিল হয়েছেন। এই উদ্যোগ চট্টগ্রামসহ সারাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং যে কোন দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে গঠিত আরবান কমিউনিটি ভলেন্টিয়ারের দলনেতাদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালার আলোকে কর্পোরেশনের গঠিত ৬ সদস্যের কমিটি এই ভলেন্টিয়ারদের কার্যক্রম তদারক করবেন। ইতোমধ্যে ৪, ৭, ৮, ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে ভলেন্টিয়ার নেয়া হয়।
পরবর্তীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ জন করে ভলেন্টিয়ার সংযুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জন ভলেন্টিয়ার ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত। তারা জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের যে কোন প্রান্তে কাজ করতে সক্ষম। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার প্রয়াস প্রকল্পের অধীনে এই ভলেন্টিয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর জহরুল আলম জসিমের সভাপতিত্বে ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারেক আলী, স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির আবদুস সালাম মাসুম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ।
মেয়র আরো বলেন, ‘এবার কোরবানির ঈদে যেমন বর্জ্য পরিষ্কারে চসিক সাফল্য দেখিয়েছে, তেমনি করোনা ও ডেঙ্গুর মতো দুর্যোগে চসিক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলও সফলতা দেখাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা প্রমাণ করতে চাই, যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলাসহ জাতীয় যেকোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে চট্টগ্রাম সবসময় অগ্রগামী ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। চসিক গঠিত ভলেন্টিয়ার ও দলনেতারা যদি এই করোনাসহ যেকোন দুর্যোগে সাফল্য দেখাতে পারেন তাহলে মেয়র হিসেবে আমি তাদের পুরস্কৃত করবো। আশা করি, আমাদের ভলেন্টিয়ারগণ সাফল্যের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’
এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে করোনা মোকাবেলায় সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে ২২ শ’ মাস্ক ও ২২০ পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিট।
এসব সুরক্ষা সামগ্রী বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তাঁর বাসভবনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিট নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করে এসব সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
এ সময় কাউন্সিলর মো. এসারারুল হক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, সহ-পরিচালক মো. ইয়াহিয়া বখতিয়ার, যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের সাংগঠনিক বিভাগীয় প্রধান তানভীর আহমেদ চৌধুরী মাহিন, ইশতাকুল ইসলাম চৌধুরী, বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম প্রমুখ।